আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1663 লেভেলে পৌঁছেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ধাপে ধাপে কমে 1.1640-এর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারভাতা আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার খবরের প্রভাবে ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এই প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সম্ভাবনা মূল্যায়নে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেনি, তবে এটি মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি কিছুটা পুনরুদ্ধারের আশা সৃষ্টি করেছে। ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, উল্লেখ্য যে এর আগেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রত্যাশায় ইউরোর মূল্য উর্ধ্বমুখী হয়েছিল।
আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি পরিসংখ্যান এবং কর্মসংস্থান হারের পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, ফ্রান্সের শিল্প উৎপাদন এবং ইতালির খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, আগের প্রান্তিকের তুলনায় ইউরোজোনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.২-০.৩%-এর আশেপাশে থাকবে। তবে অঞ্চলটির বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, যেকোনো ইতিবাচক ফলাফলকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের হার। কারণ এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। কর্মসংস্থান হ্রাস পেলে সেটি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দিতে পারে, অন্যদিকে যদি কর্মসংস্থান অল্প পরিমাণেও বৃদ্ধি পায়, সেটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতি আশাবাদ তৈরি করবে।
ফ্রান্সের শিল্প উৎপাদন এবং ইতালির খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ফ্রান্সে শিল্প উৎপাদনের বৃদ্ধি হলে তা ইঙ্গিত দেবে যে এ খাতটি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করছে—যা বিদ্যুৎ সংকট ও সরবরাহ বিভ্রাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একইসাথে, ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন ভোক্তাদের মনোভাব ও ক্রয়ক্ষমতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে। এই দুটি প্রতিবেদনই ইউরোজোনের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা মূল্যায়নে সহায়ক হবে। দুর্বল পরিসংখ্যান প্রকাশিত হলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো চাপের মধ্যে পড়তে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের দিকেই বেশি মনোযোগ দেবো।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1694-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1665-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1694-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1650-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1665 এবং 1.1694-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1650-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1626-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1665-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1650 এবং 1.1626-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।